নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩৭ বছর পর জম্মু-কাশ্মীর আবারো সাক্ষী হতে যাচ্ছে এক ঐতিহাসিক ইসলামী সমাবেশের। আগামী ৫, ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে সোপুর গাহ এলাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কাশ্মীর ইজতেমা। বিশ্ব মারকাজ নিজামুদ্দিনের নির্দেশনা এবং বিশ্ব আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ইজতেমাকে ঘিরে মুসলিম – অমুসলিম নির্বিশেষে স্থানীয়দের মধ্যে এক অভূতপূর্ব আনন্দ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এর নানামুখী সুফল নিয়ে স্থানীয়রা প্রচণ্ড আশাবাদী। তারা মনে করছেন, এই ইজতেমা কেবল কাশ্মীরের নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য হেদায়েতের এক মাধ্যম হবে।
পুরোদমে চলছে ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতের কাজ। হাজারো স্বেচ্ছাসেবক দিনরাত পরিশ্রম করছেন ময়দান সমতল করা, অবকাঠামো নির্মাণ এবং আগত মুসল্লিদের জন্য সুবিধা তৈরির কাজে। স্থানীয় মুসলিম সমাজের মধ্যে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস, যা দীর্ঘদিন পর এই সমাবেশকে ঘিরে আশার আলো দেখাচ্ছে।
ইজতেমা শুধু একটি সমাবেশ নয়; এটি নবীজির ﷺ দাওয়াতি কাজকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম মঞ্চ। এখানে মুসলিম সমাজ ঈমান, আমল ও আখলাকের উপর গুরুত্বারোপ করে। দাওয়াতি পরিবেশ মানুষের অন্তরে নবজাগরণের সঞ্চার ঘটায়। তাবলীগের পরিভাষায় এটিকে ‘তাশকীল’ বলে। হযরত মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী (রহ.) বলতেন: “ইসলাহ ও তাশকীলের পরিবেশই হচ্ছে উম্মতের পুনর্জাগরণের মূল চাবিকাঠি।” উলামায়ে কেরাম বলেন—ইজতেমা সমাজে ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতা ও ইসলামী ঐক্যকে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি জানা ইলমের উপর আমল করার অদম্য স্পৃহা তৈরী করে। হযরত মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী (রহ.) বলতেন: “আমল ছাড়া ইলম মৃত। আর দাওয়াত ছাড়া আমল অসম্পূর্ণ।” ইজতেমার অপরিসীম গুরুত্ব ও মাহাত্ম তুলে ধরতে হযরত মাওলানা ইনামুল হাসান কান্ধলভী (রহ.) বলতেন: “ইজতেমা হচ্ছে এমন এক আয়না, যেখানে উম্মত নিজেদের দুর্বলতা উপলব্ধি করে এবং নতুনভাবে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার শক্তি পায়।”
কাশ্মীরের নির্যাতিত মুসলিমদের প্রত্যাশা, এই ইজতেমা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের জন্য একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে এবং এর মাধ্যমে শান্তি, সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় চেতনা আরও সুদৃঢ় হবে। স্থানীয় মুসলিমগণ এই ইজতেমার সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছেন এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও হেদায়েতের প্রত্যাশা করছেন। ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত রহিমুল্লাহ কাশ্মীরী বলেন, কাশ্মীর ইজতেমা শুধু কাশ্মীরের মুসলিমদের নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের উম্মতের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ একটি দাওয়াতি সমাবেশে রূপ নিতে যাচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আল্লাহ তাআলা এই ইজতেমাকে উম্মতের জন্য হেদায়াত, ঐক্য ও ইসলামী জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম বানাবেন, ইনশা আল্লাহ।
About The Author
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।